‘কথার কথা?’ অবাক হয়ে গেলাম বন্ধুটির মন্তব্যে। প্রগতিশীল বলে তাঁর নামডাক আছে, পড়াশোনার ব্যাপ্তিও তাঁর কম নয়, সাহিত্য-সমাজ নিয়েও তিনি চিন্তাভাবনা করেন। এহেন ব্যক্তিটি যে এমন একটা উৎকট মন্তব্য করবেন, ভাবতেই পারিনি।
মাঝে মাঝে ভাবি, আমাদের যে দিন গেছে, তা রাতের তারার মতো, দিনের আলার গভীরে আছে কি না, জানি না। তবে নিশ্চিত জানি, তারা আছে আমাদের সবার হিরণ্ময় স্মৃতিতে।
একজন মানুষের নানান সত্তা থাকে, থাকে নানান পরিচয়। এই যে আমি, আমি তো একজন বহুধা সত্তাসম্পন্ন মানুষ। আমি দক্ষিণ এশীয়, আমি বাঙালি, আমি একটি নির্দিষ্ট বয়ঃক্রমের, আমি পুরুষ, আমি একজন শিল্প-সাহিত্যরসিক, আমি দুই কন্যার জনক ইত্যাদি ইত্যাদি।
একজন মানুষের নানান সত্তা থাকে, থাকে নানান পরিচয়। এই যে আমি, আমি তো একজন বহুধা সত্তাসম্পন্ন মানুষ। আমি দক্ষিণ এশীয়, আমি বাঙালি, আমি একটি নির্দিষ্ট বয়ঃক্রমের, আমি পুরুষ, আমি একজন শিল্প-সাহিত্যরসিক, আমি দুই কন্যার জনক ইত্যাদি ইত্যাদি।
কড়া নাড়ব না বৈদ্যুতিক ঘণ্টিটি বাজাব, তা ভাবতেই মিনিটখানেক কেটে গেল। অকারণে নয়, সময়টার কথা ভেবেই আমার এ দ্বিধা। শীতের পড়ন্ত বিকেল। ইতিমধ্যেই সূর্য এলিয়ে পড়েছে পশ্চিম গগনে।
রেখে চলে যাচ্ছিলাম বছর দুই আগে। যখন রুজভেল্ট দ্বীপ ছাড়ি স্থায়ীভাবে। মনে হলো যেন শুনতে পেলাম: ‘ফেলেই দিলে?’ ব্যথাতুর ফিসফিসানি যেন। চমকে পেছনে তাকালাম। না, কেউ কোথাও নেই। শুধু পড়ে আছে চেয়ারটি। একটু আগেই ফেলে গেছি আমাদের আবাস ভবনের ছয় তলার বর্জ্য ফেলার জায়গায়। না, আহামরি কোনো চেয়ার নয়। সাধারণ একটি বেত
যখন বেরিয়েছিল তারা—মেয়েটি ও ছেলেটি, তখনই তাদের মনে হয়েছে যে বর্ষা নামতে পারে। তাই ঘর থেকে বেরিয়েই ছেলেটি আকাশের দিকে তাকায়, আর মেয়েটি ছেলেটির মুখের দিকে একটি দুষ্টু হাসি হেসে হাতের সুদৃশ্য ছাতাটি দুলিয়ে দেয়। মিষ্টি নকশার ছাতাটি দুলে ওঠে এক ‘মায়াবী পর্দার’ মতো। ছেলেটি হেসে ওঠে, তারপর মেয়েটির নরম ছোট্